কিভাবে একটি চায়ের দোকানের ব্যবসা শুরু করবেন
হ্যালো বন্ধুরা, আজ এই প্রবন্ধের মাধ্যমে আমরা আপনাদের বলব কিভাবে আপনি একটি চায়ের দোকানের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসাটি করার জন্য, শুরুতেই আপনাকে কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে, চা বানাতে কী কী জিনিস লাগবে এবং কত পরিমাণে, কোন জায়গা থেকে এই ব্যবসা শুরু করা উচিত, কত টাকার প্রয়োজন?
আপনি কখন এই ব্যবসা শুরু করবেন বা এই ব্যবসা করে আপনি প্রতি মাসে কত লাভ করতে পারবেন, আমরা আজকের এই নিবন্ধের মাধ্যমে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর বিস্তারিতভাবে জানাবো, তাই আমি আপনাদের সকলকে অনুরোধ করছি দয়া করে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এই নিবন্ধটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন যাতে আপনি আগামী সময়ে খুব সহজেই এবং সাবধানে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
চায়ের দোকানের ব্যবসা কী?
বন্ধুরা, প্রায় প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকই চা পান করতে খুব পছন্দ করেন। প্রায়শই মানুষের দিন শুরু হয় এক কাপ চা দিয়ে। চায়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। যখনই আমরা কারো বাড়িতে যাই বা কেউ আমাদের বাড়িতে আসে, আমরা প্রথমে তাকে চা বা জলের জন্য বলি। চা আমাদের ভ্রাতৃত্ব এবং আত্মীয়তার বন্ধনকেও খুব ভালোভাবে বজায় রাখে।
বন্ধুরা, চায়ের দোকানের এই ব্যবসাটি পুরো ১২ মাস ধরে চলে এবং আপনি গ্রাম, এলাকা, শহর, জেলা, মহানগর ইত্যাদি সকল জায়গা থেকেই এই ব্যবসাটি করতে পারবেন। এই ব্যবসায় শুরুতে আমাদের খুব কম টাকা বিনিয়োগ করতে হয়, এই কারণেই বেশিরভাগ মানুষ এই ব্যবসা শুরু করছেন এবং বর্তমানে এই ব্যবসায় প্রতিযোগিতা অনেক বেড়েছে। বন্ধুরা, গ্রীষ্মের তুলনায় শীতকালে চা বিক্রি অনেক বেশি হয়। এর সবচেয়ে বড় কারণ হল গ্রীষ্মকালে মানুষ ঠান্ডা জিনিস খেতে এবং পান করতে বেশি পছন্দ করে, যেখানে শীতকালে মানুষ গরম জিনিস পান করতে এবং খেতে পছন্দ করে, তাই শীতকালে চায়ের বিক্রি বেশি হয়।
চায়ের দোকানের ব্যবসায় যা প্রয়োজন
বন্ধুরা, চায়ের দোকানের ব্যবসা বাজারে তার অবস্থান খুব শক্তপোক্তভাবে ধরে রেখেছে। এই সময়ে যদি কোনও ব্যক্তি চায়ের ব্যবসা শুরু করে, তাহলে সে লাভবান হবে। বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই দেখেছো যে এই সময়ে অনেক শিক্ষিত যুবকও চায়ের ব্যবসা শুরু করছে।
এর সবচেয়ে বড় কারণ হলো ভারতে ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব কারণ এই সময়ে মানুষের জন্য কর্মসংস্থান পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। বন্ধুরা, এই ব্যবসাটি করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি দোকান ভাড়া করতে হবে যেখান থেকে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করবেন। দোকানে তোমার একটা কাউন্টার, চেয়ার, টেবিল, কিছু আসবাবপত্র, ব্যানার বোর্ড লাগবে।
এই ব্যবসায় আপনার কিছু ইলেকট্রনিক জিনিসপত্রেরও প্রয়োজন। আপনি সরকারি অফিস, কোম্পানি, হাসপাতাল, কলেজ, বাস স্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, পর্যটন স্থান, সবজির বাজার, স্কোয়ার এবং মোড় অথবা যেকোনো জনাকীর্ণ এলাকায় আপনার দোকান খুলতে পারেন। চা তৈরির জন্য আপনার সিলিন্ডার, গ্যাসের চুল্লি, চা পাতা, চিনি, দুধ, কিছু বাসনপত্র, চায়ের কাপ, চা কেটলি, চা ছাঁকনি ইত্যাদি জিনিসপত্রের প্রয়োজন হতে পারে এবং আরও কিছু ছোট জিনিসপত্রের প্রয়োজন হতে পারে যা ছাড়া আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না।
চায়ের দোকানের ব্যবসায় কত টাকা প্রয়োজন?
বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই দেখেছো যে বাস স্ট্যান্ড এবং রেলস্টেশনে চায়ের চাহিদা প্রচুর। এই জায়গায় কী এমন হয় যে মানুষ এত বেশি পরিমাণে চা পান করতে পছন্দ করে? তো, বন্ধুরা, আমি তোমাদের বলি যে, তোমরা বাস স্ট্যান্ড এবং রেলস্টেশনে যাত্রীদের দেখতে পাও।
আর ভ্রমণের কারণে আমাদের প্রচুর মাথাব্যথা হয়, শরীরে খুব ক্লান্তি লাগে বা খুব ঘুম আসে এবং এমন পরিস্থিতিতে যদি আমরা এক কাপ চা পান করি, তাহলে আমরা অনেক স্বস্তি পাই। বন্ধুরা, তোমরা প্রায় ৫০০০০ থেকে ১০০০০০ টাকা বিনিয়োগ করে একটি চায়ের দোকানের ব্যবসা শুরু করতে পারো।
চায়ের পাশাপাশি, আপনি গ্রাহকদের কাছে সামোসা, রুটি, পাকোড়া, নোনতা বিস্কুট ইত্যাদি অনেক ধরণের খাবার বিক্রি করতে পারেন। বন্ধুরা, এই চা দোকানের ব্যবসা ভবিষ্যতে কখনও বন্ধ হবে না। আপনি যদি এই ব্যবসার লাভের দিকে তাকান, তাহলে আপনি এই ব্যবসাটি করে প্রতি মাসে সহজেই ২০০০০ থেকে ৩০০০০ এর বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। এই ব্যবসায়, আপনি প্রায় 30% থেকে 40% লাভ দেখতে পাবেন, যা এই ব্যবসার মতে বেশ বেশি।
আমরা আশা করি চায়ের দোকান ব্যবসার উপর এই প্রবন্ধটি আপনাদের সকলের খুব ভালো লেগেছে এবং এই প্রবন্ধের মাধ্যমে আপনারা অবশ্যই আপনাদের মনে উদ্ভূত সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। বন্ধুরা, আজ এই প্রবন্ধের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে নিম্নলিখিত উপায়ে ব্যাখ্যা করেছি কিভাবে আপনি একটি চায়ের দোকানের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
এই ব্যবসাটি করার জন্য আপনাকে শুরুতে কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে, কোন জায়গা থেকে এই ব্যবসা শুরু করা উচিত এবং এই ব্যবসাটি করে আপনি প্রতি মাসে কত লাভ করতে পারেন, এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আমরা এই প্রবন্ধের মাধ্যমে আপনাদের দিয়েছি, তাই বন্ধুরা, আসুন এই প্রবন্ধটি এখানেই শেষ করি এবং খুব শীঘ্রই একটি নতুন প্রবন্ধ নিয়ে আপনাদের সাথে দেখা করি, ধন্যবাদ।
এটিও পড়ুন………….